বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের লুটপাটের রাজনীতির কারণে সারাদেশে এখন সামাজিক নৈরাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে।  সেই সাথে ছাত্রলীগ শুধু বিএনপির উপর আক্রমণ করছেনা লুটের টাকা ভাগাভাগি করতে নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আজ বুধবার (১৪ই ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশান এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ সরকার পতনের দাবিতে আজও সারাদেশে মহানগরে গণসংযোগ ও ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

এ কর্মসূচির আওতায় বুধবারও ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করবেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি সব জেলা শহরে এবং ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সব উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পালিত হবে একই কর্মসূচি।

এছাড়া ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে নিহত বাংলাদেশিদের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশের সব মসজিদে দোয়া করা হবে।

বুধবার রাজধানীর গুলশান এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, “ আপনারা দেখেছেন, আজকে দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করা হয়েছে। তামাশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে। আমাদের ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মত ‍গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। আর গতকাল বাংলাদেশের তিনটি ছাগল নাকি ভারতের সীমান্তের ওপারে গেছে। তাদেরকে বিএসএফ ধরে বাংলাদেশে ফেরত দিয়েছে। এটা তামাশা।

“ওদিকে টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তে আপনারা কি দেখছেন? মুর্হুমুর্হু গোলাগুলি চলছে সীমান্তের ওপারে। আর সীমান্তের এপারে বাংলাদেশের কৃষকরা কাজ করতে পারছে না, কৃষকরা ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। আর আমাদের সরকার নীরব। আমাদের সরকার হাত গুটিয়ে বসে আছে। একটা প্রতিবাদ করারও সাহস নেই। এই পরিস্থিতি চলতে পারে না।”

রিজভীর সঙ্গে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ  অঙ্গসংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে দুপুরে নয়া পল্টনে এবং পল্টন কালভার্ট রোড এলাকায় রিজভীর লিফলেট বিতরণ করার কথা রয়েছে।